Header Ads

Header ADS

|| সাদমান সাদিক || খালিদ ফরহান || এনায়েত চৌধুরী ||



উনাদের সবার সম্পর্কে জানতেন ? ট্রাইনোমিয়াল পডকাস্ট শুনতেন আগে থেকেই ?



📌 ‘দেশে বিশ্বমানের বাংলা পডকাস্ট চ্যানেল করতে চাই’

বাংলাদেশে পডকাস্ট ইন্ডাস্ট্রি এখনও তেমনভাবে সাড়া ফেলেনি। এর একটি বিশেষ সুবিধা হচ্ছে কাজের মধ্যে থেকেও এটি উপভোগ করা যায়। Podcast হল একটি Audio সিরিজ বা শো যেটা Mobile কিংবা Computer অথবা ট্যাবেও শুনা যেতে পারে, যেকোনো সময় এবং যেকোনো পরিস্থিতিতে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এটির প্রচলন থাকলেও আমাদের কাছে এটি খুবই নতুন।

মূলত তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে আধুনিকতার ছোঁয়া একটু দেরিতে পরায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এমনটি হয়ে থাকে। যেমন, বিশ্বের অধিকাংশ দেশ যেখানে ক্রিপ্টো কারেন্সি বৈধতা দিয়েছে সেখানে পিছিয়ে পড়া দেশগুলোতে এটি অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। অথচ প্রতিনিয়ত ক্রিপ্টো কারেন্সি কেন্দ্রিক গড়ে উঠছে বড় বড় প্রতিষ্ঠান। এমন অনেক ক্ষেত্র রয়েছে যেসব জায়গায় আমাদের দেরিতে পদচারণা হওয়ায় আমরা পিছিয়েই থাকি।

বাংলাদেশ যখন পাবজি বন্ধ করে দিচ্ছে তখন অন্যান্য দেশে পাবজিসহ বিভিন্ন গেমিং ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠছে। এসব ইন্ডাস্ট্রিকে সাপোর্ট দিতে আরও ইন্ডাস্ট্রি তৈরি হচ্ছে। বিভিন্ন গেমিং কম্পিটিশন জেতার জন্য তৈরি হচ্ছে ফুটবল-ক্রিকেটের মত টিম। এই টিমের পেছনে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য লাগছে আরও দক্ষ জনবল। এতেকরে তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন কর্মসংস্থান। এমন অনেক জানা-অজানা বিভিন্ন আকর্ষণীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় “ট্রাইনোমিয়াল পডকাস্ট” নামক এই ইউটিউব চ্যানেলে। চ্যানেলটিতে নিয়মিত তিনজন আলোচনা করেন যারা তিনজন একদম ভিন্ন তিনটি ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে এসেছেন।

এদের মধ্যে একজন হলেন খালিদ ফারহান। যিনি ডিজিটাল মার্কেটিং-এ মাস্টার্স করে এখন একটি ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি চালাচ্ছেন আয়ারল্যান্ডে। দ্বিতীয় জন হলেন সাদমান সাদিক, যিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে ব্যবসায় প্রশাসন নিয়ে পড়ালেখা শেষ করে টেন মিনিট স্কুলের চিফ কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের দায়িত্বে আছেন। তৃতীয় জন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পুরকৌশল বিষয়ে পড়ালেখা শেষ করে এখন শিক্ষকতা করছেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনা ইন্সটিটিউটে। তিনি এনায়েত চৌধুরী।

এদের তিন জনেরই ভিন্ন ভিন্ন ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে যেখানে তাদের বিভিন্ন গবেষণা, পর্যবেক্ষণ, দিকনির্দেশনা ইত্যাদি দিয়ে থাকেন। তাদের তিনটি চ্যানেলই ইউটিউব থেকে সিলভার প্লে বাটন পাওয়ার স্বীকৃতি অর্জন করেছে। এরা সবাই তাদের জায়গায় সফল।

দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে রাজনীতিতেও অংশগ্রহণ করতে চান এই তিন তরুণ। তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং বিভিন্ন দিক নিয়ে এনায়েত চৌধুরীর সাথে কথা বলেছে ক্যারিয়ারটাইমস২৪.কম। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আসিফ খান।

🟢 আপনাদের পডকাস্ট ইন্ডাস্ট্রি তে আসার অনুপ্রেরণা কে?

এনায়েত চৌধুরী: আমাদের তেমন কোনো অনুপ্রেরণা নেই আসলে। এমনিতে অন্য অনেকের মতো জো রোগান এক্সপিরিয়েন্স বা দ্যা র অ্যান্ড রিয়াল পডকাস্ট শোনা হয় আমাদের। তবে বিষয়টা এমন না যে তাদেরকে দেখে আমাদের পডকাস্টের যাত্রা শুরু হয়েছে।

🟢 কেন আপনাদের মনে হলো পডকাস্ট করবেন?

এনায়েত চৌধুরী: আমরা তিনজন যেহেতু শিক্ষামূলক কন্টেন্ট তৈরি করি, আমাদের মতের মধ্যে অনেক ক্ষেত্রে কিছুটা সামঞ্জস্য থাকে এবং তিনজন যেহেতু তিনটি ভিন্ন পটভূমির মানুষ সেহেতু একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে তিনজনের দেখার ভিন্নতার কারণে বেশ আকর্ষণীয় একটি আলোচনার সূত্রপাত ঘটে। এই চিন্তা থেকেই মূলত একসাথে পডকাস্ট করতে চাওয়ার ইচ্ছা।

🟢 আপনাদের পরিবার থেকে এসব ব্যাপারে উৎসাহ পান কেমন?

এনায়েত চৌধুরী: পরিবার থেকে উৎসাহের ব্যাপারটা নিরপেক্ষ ধরনের। একেবারে পা ধরে আটকে যেমন রাখে না এটা না করার জন্য, আবার করলে বিষয়টাকে খুব একটা উদযাপনও যে করা হয় এমন না, দুইদিক থেকেই তেমন কোনো আড়ম্বর থাকে না আর কি।

🟢 কোন প্রতিবন্ধকতা রয়েছে কিনা? থাকলে সেটি কী?

এনায়েত চৌধুরী: পডকাস্ট শোনা বেশ কঠিন ও সময়সাপেক্ষ একটি কাজ। টানা দেড়-দুই ঘণ্টার একেকটা পডকাস্ট। বাংলাদেশের অনেক মানুষ এখনো এটাতে অভ্যস্ত না। এটাই সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা।

🟢 বাংলাদেশে কন্টেন্ট ক্রিয়েশন শিল্প নিয়ে আপনার মতামত কী? কোন সংস্কার প্রয়োজন কিনা?

এনায়েত চৌধুরী: তিনটি ব্যাপারে আমরা আমাদের অনেক পডকাস্টেই আলোচনা করেছি। সেগুলো হলো- ১. কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের আরও বেশি করে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান। ২. উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েরা কোন কোন ইউটিউব চ্যানেল ফলো করবে তার একটি দাপ্তরিক তালিকা থাকা। ৩. অসুস্থ বিনোদন দিয়ে ভাইরাল হওয়ার তুলনায় সুস্থ কন্টেন্টগুলোকে সামাজিকভাবে বেশি করে স্বীকৃতি প্রদান করা।

🟢 আপনাদের আলোচনার নির্দিষ্ট কোন বিষয় না থাকার কারণ কী?

এনায়েত চৌধুরী: কিছুটা নির্দিষ্ট বিষয় থাকে আসলে। তবে পডকাস্টে খুব কাঠখোট্টাভাবে কথা বললে যেটা হয় মানুষ শোনার আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। পডকাস্ট সাধারণত হবে খুব মুক্তভাবে আলোচনা, আরাম করে অনেকক্ষণ ধরে শোনা যায় এমন। অনেকে মেইক-আপ করতে করতে, খাবার বানাতে গিয়ে, ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ বা কক্সবাজার পর্যন্ত লম্বা ভ্রমণ করতে করতে কানে আমাদের পডকাস্ট শুনতে থাকে। মাঝে মাঝে তাই নির্দিষ্ট বিষয়ের চেয়ে অনির্দিষ্ট জিনিসে কথা বলা মানুষ বেশি পছন্দ করে থাকে।

🟢 বর্তমান যুগে যুব সমাজ ধ্বংসের কারণ কী হতে পারে আপনার মনে হয়?

এনায়েত চৌধুরী: এটার বহুবিধ কারণ রয়েছে। একটি তো অবশ্যই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানসম্মত কন্টেন্টের অভাব। যেসব বাজে কন্টেন্ট দেখে তারা তাদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়গুলো কাটাচ্ছে, তা যদি ভালো না হয় তাহলে তো সেটি তাদের আসল জীবনেও প্রভাব ফেলবে।

🟢 আপনাদের এই আলোচনা মানুষের কেন শোনা উচিৎ বলে মনে করেন?

এনায়েত চৌধুরী: সত্যি কথা বলতে আমাদের কাছে এর পক্ষে তেমন কোনো যুক্তি নেই। যদি আপনার মনে হয় এই আলোচনা থেকে আপনার জীবনে একটু হলেও কোনো ধনাত্মক প্রভাব আসছে তাহলেই কেবল আপনার শোনা উচিত, নতুবা দরকার নেই আসলে।

🟢 আধুনিক বিশ্বের থেকে আমরা কতটুকু পিছিয়ে আছি বলে মনে করেন?

এনায়েত চৌধুরী: বেশ কিছু জায়গায় আমরা ভালো করছি বিশেষত অর্থনৈতিকভাবে। তবে বিভিন্ন সামাজিক প্রেক্ষাপটে শিক্ষাগত উন্নয়নের পাশাপাশি নৈতিক অবক্ষয় দূরীকরণ ও মানুষের মাঝে পরমত সহিষ্ণুতার জায়গায় আমরা এখনো অনেক পিছিয়ে, এখানে ব্যাপক উন্নতির জায়গা রয়েছে।

🟢 বিশ্বের সাথে তাল মেলাতে সন্নিকট ভবিষ্যতে কোন বিষয়ে জোর দেয়া প্রয়োজন আমাদের?

এনায়েত চৌধুরী: বিশ্বের সাথে তাল মেলানোর জন্য তথ্য প্রযুক্তি খাতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অর্থায়ন ও কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ আরো বেশি পরিমাণে নিশ্চিতকরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াবে।

🟢 নিজেদের এই প্ল্যাটফর্মকে কোথায় দেখতে চান?

এনায়েত চৌধুরী: আমরা আরও পেশাদার আঙ্গিকে পডকাস্টটিকে সবার সামনে তুলে ধরতে চাই। এক্ষেত্রে নতুন স্টুডিও নেয়া, পেশাদার ভিডিও ও অডিও সম্পাদক নিযুক্তকরণসহ বেশ কিছু পরিকল্পনা আমাদের হাতে রয়েছে। যাতে এটিকে আমরা বিশ্বমানের একটি বাংলা পডকাস্ট চ্যানেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারি। এটিই আমাদের ভবিষ্যত পরিকল্পনা।

🟢 পাঠকদের উদ্দেশ্যে কোন পরামর্শ আছে কী?

এনায়েত চৌধুরী: আমাদের পরামর্শ থাকবে সুস্থ কন্টেন্টকে আপনারা বেশি করে উৎসাহ প্রদান করুন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কন্টেন্টগুলোকে বেশি করে শেয়ার করুন। এতে করে এই ধরনের কন্টেন্ট বানানোর প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়বে এবং আমরা আরো অনেক ভালো কন্টেন্ট আমাদের মাঝে পাবো।

🟢 আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদেরকে সময় দেয়ার জন্য।

এনায়েত চৌধুরী: ক্যারিয়ারটাইমস২৪.কমকেও অসংখ্য ধন্যবাদ এই প্রয়াসটির জন্য। এর আগেও দেখেছি আপনারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভালো কাজ করছে। এমন মানুষদের গল্প সকলের সামনে তুলে ধরেছেন। আশা করি ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে।
® ক্যারিয়ার টাইমস

Khalid Farhan 
Sadman Sadik 
Enayet Chowdhury 

-Tanjil Sarkar
❤️

No comments

Featured Post

The Future Space Tourism - 2050

 In the next three decades, human beings will enter the realm of space like never before. This is partly due to the way that public interest...

Popular Post

Powered by Blogger.