অদ্ভুত এই পৃথিবীর ২০টি চমক!
১। ছোটবেলায় পিঁপড়া ও ঘাসফড়িং এর গল্প আমরা সবাই পড়েছি। যেখানে গ্রীষ্মকালে পিঁপড়ার অক্লান্ত পরিশ্রমের কথা বলা হয়েছে। তবে এই গল্পে যে জিনিষটা বলা হয়নি, তা হচ্ছে, পিঁপড়া শুধু পরিশ্রমই করে না বরং নির্ঘুম ভাবে পরিশ্রম করে। জ্বী, পিঁপড়া কখনো আমাদের মত স্বাভাবিকভাবে ঘুমায় না!
কী মনে হচ্ছে? আরেহ! টার্ম পেপার জমা দেবার ডেডলাইনের আগে তো আমরাই পিঁপড়া হয়ে যাই তাহলে!
২। মনে করুন, আপনার জরুরি ভিত্তিতে বরফ দরকার। এখন, আপনার বাসায় ঠাণ্ডা ও গরম দুরকমের পানিই আছে। আপনি কোন পানিকে বরফ বানাতে দিবেন? ঠাণ্ডা পানিকে?
মুভির নায়কের মতো বলে বসতেই হয়, “This is where you are wrong, kiddo!” ঠাণ্ডা পানির চেয়ে গরম পানি দ্রুত বরফে রূপান্তরিত হয়।
৩। হাসির জন্য বিখ্যাত মোনালিসা কি আসলেই একদম পারফেক্ট ললনা? খেয়াল করে দেখুন তো, তার তো ভ্রু-ই নেই!
৪। জিহ্বা হচ্ছে আপনার দেহের সবচেয়ে শক্তিশালী পেশী। এর পরই সবচেয়ে শক্তিশালী পেশী হচ্ছে মাসিটা অর্থাৎ গালের পেছনের দিকের পেশী।
৫। আপনাকে যদি একটা গ্লাসে সবুজ রঙের কোকাকোলা আরেকটা গ্লাসে লাল রঙের কোকাকোলা খেতে দেয়া হয়, তাহলে কোনটা খাবেন আপনি? অবশ্যই লালটা। কিন্তু আপনি কি জানেন? আসল কোকাকোলা সেই সবুজ রঙেরটাই। রঙ মেশানোর পর তা লাল রঙ ধারণ করে।
৬। কখনো কি মনে হয়, উট কী করে এত বৈরী আবহাওয়ায়ও নিজের চোখকে রক্ষা করে? মরুভূমিতে ধুলা থেকে বাঁচার জন্য উটের চোখে তিনটা পাতা থাকে।
৭। আমাদের অনেকেরই মাছের গন্ধ একদম সহ্য হয় না। কিন্তু বেশিরভাগ লিপস্টিকের উপাদানেই কিন্তু মাছের আঁশ মেশানো থাকে!
নিজেকে কখনো অসহায় মনে হলে, একবার সেই ডেন্টিস্টের রোগীদের কথাটা ভেবে দেখুন!
৯। মানুষের হাতের আঙ্গুলের মতই দুজন মানুষের জিহ্বার ছাপও কখনো মিলবে না।
১০। কেমন হতো যদি আমাদের শহরটাতে শুধু নদী আর সেতু থাকতো? কোনো রাস্তা থাকতো না? ঠিক যেন হল্যান্ডের গ্রাম গিথুর্নের মত।
১১। আমরা মাঝেমাঝেই আমাদের মস্তিষ্ক যা বলে তাকে পাত্তা না দিয়ে, হৃদয়ের কথাটাকে গুরুত্ব দিয়ে পড়ে যাই বিপদে। চিংড়ির কিন্তু এমনটা হয় না। কারণ, তার হৃদয়ই মাথায় অবস্থিত!
১২। থ্রি ইডিয়টস ছবির ভাইরাসের মত লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চিও কিন্তু এক হাত দিয়ে ছবি আঁকতেন এবং আরেক হাত দিয়ে লিখতে পারতেন!
১৩। পৃথিবীই একমাত্র গ্রহ, যার নাম কোনো দেবতার নামানুসারে করা হয়নি।
১৪। ডলফিনকে মানুষের মতই বুদ্ধিমান বলে গণ্য করা হয়। দুটি ডলফিনকে যদি নিজেদের মাঝে ফোনালাপ করতে দেয়া হয়, তাহলে তারা যে শুধু তা করতে পারবে তাই নয়, বরং একে অপরের আওয়াজও চিনতে পারবে।
১৫। পেঁচা একমাত্র পাখি যে নীল রঙ দেখতে পায়!
১৬। নেপচুনে গ্রীষ্মকাল ৪০ বছর ব্যাপী চলতে থাকে। কিন্তু, তাতে তাপমাত্রা থাকে -৩২৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা -২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১৭। মানুষের মস্তিষ্ক যে পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে, তাতে একটি ৬০ ওয়াটের বাল্ব জ্বালানো সম্ভব।
১৮। পেঙ্গুইনের চোখের উপরে একটা অঙ্গ থাকে যার মাধ্যমে তারা নোনা পানিকে মিঠা পানিতে পরিণত করে।
১৯। বাঘের পা এত শক্তিশালী যার ফলে বাঘ মৃত্যুর পরও দাঁড়িয়ে থাকতে পারে।
২০। ফেসবুককে আমরা নীল জগৎ বলে ডাকি। ফেসবুকের রঙ নীল হবার পেছনের কারণটা হচ্ছে, এর প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ হচ্ছেন বর্ণান্ধ!
পৃথিবীকে আগে যে নজরে দেখতেন, এসব জানার পরও কি পারবেন আবার সেভাবেই দেখতে?
No comments