জামার কালারের সাথে চোখের রং পরিবর্তন !
সম্প্রতি জামার কালারের সাথে চোখের রং পরিবর্তন হওয়ায় ভাইরাল হয়েছেন এক পাকিস্তানি যুবক। অনেকেই ব্যাপারটি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন। তাহলে কী এভাবে কালার চেঞ্জ হওয়া অলৌকিক কিছু? বিজ্ঞান কী বলে?
চোখের রঙ বলতে মূলত আইরিশের রংটুকুকে বুঝাই আমরা। আইরিশের ক্ষেত্রে দুটো লেয়ার আছে। আইরিশের ফ্রন্ট লেয়ারে ( স্ট্রোমা) যে পরিমাণ মেলানিন থাকবে তার উপর নির্ভর করে চোখের রঙ কি হবে। প্রায় প্রত্যেকেরই (এমনকি নীল বা সবুজ চোখের মানুষদের) আইরিসের ব্যাকলেয়ারে ব্রাউন পিগমেন্ট থাকে।
এই মেলানিন আমাদের গায়ের রঙ, চুল, চোখের রঙ এর জন্য দায়ী। আমাদের আমাদের দেহ কি পরিমাণ মেলানিন উৎপন্ন করবে তার উপর নির্ভর করে আমাদের চোখের রঙ আসে। যাদের দেহে মেলানিন কম তৈরি হয়, তাদের চোখের রঙ তুলনামূলক কম হয়। আর যাদের বেশি মেলানিন উৎপন্ন হয় তাদের তুলনামূলক গাঢ় রঙের চোখ হয়, যেমন ব্রাউন।
কিন্তু মানুষের কি চোখের রঙ দিনে দিনে পাল্টাতে পারে? যেমন আপনি যেই রঙের পোশাক পরেন, সেই রঙের আভা চোখে থাকে।
চোখের রঙ এভাবে পোশাকের মতো বদলে যাওয়ার পিছনে রয়েছে আলো আর মেলানিন এর কারসাজি।
বস্তু থেকে আলো প্রতিফলিত হলে আমরা তখন সেই রঙ দেখতে পাই। যাদের চোখের রঙ একদম হালকা তাদের ক্ষেত্রে দেখা যায় তাদের পোশাকের রঙ তাদের চোখে প্রতিফলিত হয়ে সেই রঙ দেখায়। পোশাকের রঙ যখন ব্রাউন বা এরকম ডার্ক রঙের চোখে পড়ে, তখন সেই প্রতিফলনটা একদমই নোটিশ করা যায় না। যাদের চোখের রঙ হালকা (হ্যাজেল বা ব্লু) তাদের ক্ষেত্রে এই প্রতিফলন বুঝা যায়- এরকমটা মনে হয় যে তাদের চোখের রঙ পরিবর্তন হয়েছে। শুধু যে পোশাকের কারণে এমন হয় তা না, মানুষের চুলের রঙ এর কারণেও এমন ফেনোমেনন তৈরি হতে পারে।
আরেকটা বোনাস, চোখের রঙ কিন্তু মানুষের মুডের মাধ্যমেও পরিবর্তিত হতে পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ইমোশনের কারণে পিউপিলের সংকোচন প্রসারণ ঘটে, যার কারণে কতটুকু আলো চোখে পৌঁছাবে তার উপর নির্ভর করে রঙ পরিবর্তনও হতে পারে।
No comments