Header Ads

Header ADS

৬ ইঞ্চি মানব কঙ্কাল, পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট মানুষ

২০০৩ সালে চিলিতে খুজে পাওয়া যায় মাত্র ৬ ইঞ্চির এই কঙ্কালটি৷ অনেকের মতে এটি এলিয়েন আবার অনেকের মতে হারিয়ে যাওয়া ছোট্ট মানবপ্রজাতি কিংবা অন্য বিলুপ্ত প্রাণি। কিন্তু আসল সত্যিটা কী?
না, দেখতে অদ্ভুত হলেও নিচের কঙ্কালটি মোটেও এলিয়েন নয়, বরং মানুষের কঙ্কাল। ছয় ইঞ্চির মমি, তার উপর কোণাকার খুলি, দশটা রিবস- সব মিলিয়ে কংকালটা দেখলে অনেকে এলিয়েন বলে কিংবা অনেকে বলে কোনো বিলুপ্ত প্রাণীর কংকাল, কিংবা কোনো পুরোনো এলিয়েন মমি। বস্তুত এটা একটা ভ্রূন অথবা জন্মের সাথে সাথে মারা যাওয়া কোনো বাচ্চা, এবং তার কংকাল। আর বেশি না, মাত্র চল্লিশ বছর আগের এটা। মাল্টিপল বোন ডিজিজ ও মিউটেশনের জন্য সাধারণ ভ্রূনের মতো তার  গঠন না। জিনোম সিকুয়েন্সে এটাও ধারণা করা হয় যে এটা একজন ফিমেল ভ্রূণ।

ঘটনা শুরু একটা ডকুমেন্টারি নিয়ে। ২০০৩ সালে চিলির Atacama মরুভূমিতে ( La Noria) প্রাপ্ত এই কঙ্কাল প্রথমে মমিকৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এই মমিটি কিনে নেন স্প্যানিশ ব্যবসায়ী Ramón Navia-Osorio, এবং ২০১২ সালে Steven Greer(আমেরিকান ইউএফওলজিস্ট) এর হাতে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য হস্তান্তর করেন। সেখানে থেকে একটা pseudo-documentary  তৈরি হয় "Sirius", যেখানে থেকে সাধারণ মানুষ এই কঙ্কালকে এলিয়েন বলে দাবী করতে শুরু করেন। এরপর ডকুমেন্টারি দেখে আগ্রহী হয়ে স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির ইমিউনলজির  প্রফেসর Gary Nolan এই কঙ্কালের ডিএনএ স্যাম্পল নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। 

এরপর গ্যারি নোলান ও এই গবেষণায় তাঁর সহকর্মী মিলে জিনোম রিসার্চ জার্নালে তাঁদের পরীক্ষালব্ধ ফলাফল প্রকাশ করেন। প্রথমে প্রাথমিক গবেষণায় বের হয়েছিলো যে কঙ্কালটি সেই সময় থেকে চল্লিশ বছরের পুরোনো। এরপর বোনম্যারো ও রিবস থেকে আলাদা করে স্যাম্পল নিয়ে সম্পূর্ণ জিনোমে সিকোয়েন্স  বের করেন। মানুষের জিনোমের সাথে মেলানো হয়- জানা যায় এটা একটা  ফিমেল ভ্রূন। ভ্রূণ হলেও কঙ্কালটির হাড়ের গঠন ছয়-আট বছরের বাচ্চার মতো। রিসার্চাররা দেখেন যে একটা রেয়ার বোন-এজিং ডিজঅর্ডারের জন্য  কঙ্কালের আসল বয়সের থেকে হাড়ের বয়স বেশি বলে মনে হয়। কমপক্ষে সাতটি জিনের মধ্যে মিউটেশন হয়, যার ফলে Musculosceletal deformities দেখা দেয়, যেমন- Scoliosis, Sceletal dysplasia, এগুলো dwarfism বা বামনতা হিসেবেও পরিচিত।

এই মিউটেশন গুলো বোন ডিজিজের সাথে সম্পর্কিত৷ কিন্তু কিভাবে এলো এই মিউটেশন? 
Butte র  মতে  "জেনেটিক ডিজিজগুলো প্রধানত বাবা-মার কাছে থেকেই আসে। কিন্তু এই কেসে যে মিউটেশন পাওয়া গেছে তা পূর্বে দেখা যায়নি। এবং এটা কিভাবে কোন বাহক দ্বারা এসেছে তা ধারণা করা কিছুটা মুশকিল।তবে যেই এলাকায় এই কঙ্কাল পাওয়া গেছে,  সেখানকার পরিবেশ অনুযায়ী ধারণা করা যায় সেই এলাকার আবহাওয়া সেই ভ্রূনের ডেভেলপমেন্টে কোনো বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। (কঙ্কাল পাওয়া গিয়েছিলো এক পরিত্যক্ত নাইট্রেট মাইন এলাকায়, নাইট্রেটের সংস্পর্শে  এরকম মিউটেশন ঘটতে পারে। এটা শুধুই ধারণা।)"। স্কেলেটাল ম্যালফর্মেশনের বাইরে Ata-র congenital diaphragmatic hernia থাকতে পারে, এটি একটি জন্মগত ত্রুটি।

Butte আরও যোগ করেন, "ডিএনএ সিকোয়েন্স বর্তমানে অনেক অনির্ণেয় রোগ সম্পর্কে জানতে সহায়তা করে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই একটা একক জিনের উপর গবেষণা চালানো হয়। কিন্তু এই কেসের মাধ্যমে এটা  নিশ্চিত যে কোনো জটিল রোগ নির্ণয়ে একটা জিনের উপর  গবেষণা করেই থামা যাবে না, দেখা যেতে পারে আরও কিছু মিউটেশন থাকলেও থাকতে পারে।"

No comments

Featured Post

The Future Space Tourism - 2050

 In the next three decades, human beings will enter the realm of space like never before. This is partly due to the way that public interest...

Popular Post

Powered by Blogger.